May 2017

আমসত্ত্ব রেসিপি

Aam-Papad-ecipe-In-Bengali  

উপকরণ:- পাকা আম ১ কেজি, চিনি ১/২ কাপ, ৫টা এলাচ গুঁড়ো করা আর লাগছে সামান্য তেল।

 কি ভাবে বানাবেন আমসত্ত্ব রেসিপি ?



প্রণালি :- আম সেদ্ধ করবার জন্য একটি পাত্রে জল নিয়ে গরম হতে দিতে হবে। জল গরম হলে দিয়ে দিতে হবে আম।
৫ মিনিট এটা হতে দিতে হবে।
৫ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে আর আম গুলো তুলে নিতে হবে। এরপর আম ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে। তবে ঠাণ্ডা জলে দিয়ে ঠান্ডা হতে দিলে হবে না, এমনি ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে।
আম ঠাণ্ডা হলে একটি কড়াই এর মধ্যে আমের শাঁস নিতে হবে।
আমের খোসা ফেলে দিতে হবে, কিন্তু খোসাতে যে শাঁস থাকে নিয়ে নিতে হবে। আম সেদ্ধ করলে নরম হয়ে যায়, তাই একটু চাপ দিলেই শাঁস আর আঁটি আলাদা হয়ে যায়। সব আমের শাঁস বের করে নিতে হবে।
এরপর গ্যাস অন করে কড়াই টা বসিয়ে দিতে হবে।
ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে এলাচ গুঁড়ো আর চিনি।
আম গরম হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে বানাবেন, তা না হলে আমের শাঁস গাঢ় ছিটকাবে।
এটা বানাতে হবে আঁচ কমিয়ে প্রায় ১০ মিনিট।
১০ মিনিট পর এটা নামিয়ে নিতে হবে একটি পাত্রে, কিন্তু তার আগে পাত্রে সামান্য তেল বুলিয়ে নিতে হবে।
এবার ঢেলে নিন তেল মাখানো পাত্রে। দু'হাত দিয়ে ঝাঁকিয়ে নেবেন, তাহলে এটা সমান ভাবে চারিয়ে যাবে।
এবার এটা রোদে শুকাতে হবে।
আমি যদি বলি ৫ দিন লেগেছে শুকাতে, হয়তো দেখা যাবে আপনি দিনে ১ ঘণ্টা রোদে দিলেন, তাহলে শুকাবে না। তাই বলছি এটা রোদে ভালোভাবে শুকাতে হবে, সেটা ৩ দিনও লাগতে পারে আবার হয়তো ১০ দিন।
ওপরের দিকটা শুকিয়ে গেলে উল্টে দিয়ে আবার শুকিয়ে নিতে হবে।
ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে ছোট বা বড়ো, মনের মতো করে কেটে নিন।
তৈরি আমসত্ব। আমসত্ব ভালোভাবে শুকনো করলে অনেক দিন প্ররযন্ত এটা রাখা যায়।

আম কাতলা রেসিপি

Aam-katla-Bengali-fish-curry-recipe

উপকরণ :- কাতলা মাছের পিস ৬ টা, ১ টা বড়ো পেঁয়াজ কুঁচি, শুকনো আমের টুকরো ২ টো ( ১ টা আমের ৪ ভাগের ১ ভাগ), আদা - রুসুন বাটা ১ চামচ, সরষে বাটা ১/২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, লঙ্কা গুঁড়ো ১+১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো সামান্য, পাঁচ ফোড়ন সামান্য আর লাগছে সরষের তেল ১ টেবিল চামচ।

কি ভাবে বানাবেন আম কাতলা ?


প্রণালি :- রান্নার আগে আম শুকনো ১ কাপ জলে ভিজিয়ে দিতে হবে। আম যতো ভালো শুকনো হবে আম কাতলা খেতে ততো বেশি ভালোলাগে, কারন শুক্ন আমের নিজস্ব একটা গন্ধ আছে। আপনারা চাইলে কাঁচা আম দিয়েও বানাতে পারেন, তবে স্বাদ আলাদা আলাদা হয়।
মাছে নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে রান্নার ৫ মিনিট পর।
মাছ ভাজবার জন্য ভালোভাবে কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে মাছের পিস। মাছের পিস লাল করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
এই তেলেই দিয়ে দিতে হবে পাঁচ ফোড়ন আর পেঁয়াজ কুঁচি। পেঁয়াজ খুব ছোট সরু সরু করে কাটতে হবে। পেঁয়াজ লাল করে ভাজতে হবে, তবেই গ্রেভি খেতে ভালো লাগবে।
পেঁয়াজ লাল করে ভাজা হলে এক এক করে দিতে হবে আদা-রুসুন বাটা, সরষে বাটা, হলুদ - লঙ্কা গুঁড়ো। তেলে সব উপকরণ ভেজে নিতে হবে। বেশি ভাজবার দরকার নেই, সরষে বাটা দেওয়া আছে বেশি ভাজলে তেতো লাগতে পারে।
মশলা ভাজা হলে দিয়ে দিতে হবে জল সহ ভেজানো শুকনো আম, আরো ২ কাপ জল আর নুন।
এরপর এটা হতে দিতে হবে ৫ মিনিট।
৫ মিনিট পর ভাজা মাছ দিয়ে দিতে হবে।
আবার এটা হতে দিতে হবে ২-৩ মিনিট এর মতো।
৩ মিনিট পর নামিয়ে নিন আম কাতলা

নিরামিষ শসার তরকারি 

Cucumber-curry-Niramish-Ranna


উপকরণ :- ৫০০ গ্রাম শসা, ভেজানো কাঁচা ছোলা, ২ টো কাঁচা লঙ্কা চেঁরা, তেজপাতা ১ টা, গোটা শুকনো লঙ্কা ২ টো, পাঁচ ফোড়ন সামান্য, সরষে বাটা ১/২ চামচ, আদা বাটা ১/২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো আর লাগছে সাদা তেল ১ চামচ।

কি ভাবে বানাবেন নিরামিষ শসার তরকারি ?



প্রণালি :- প্রথমে শসার খোসা ফেলে দিয়ে সরু সরু করে কাটতে হবে। কাটার সময় একটু করে শসা খেয়ে দেখবেন, যদি তেতো হয় সেই শসাটা দেওয়ার দরকার নেই। আর এটা বানানোর চেষ্টা করবেন নরম শসা দিয়ে।
এরপর কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেলের মধ্যে দিতে হবে তেজপাতা, গোটা শুকনো লঙ্কা আর পাঁচ ফোড়ন।
তেলে সামান্য ভাজার পর এক এক করে দিয়ে দিতে হবে নারকেল কোড়া, ভেজানো ছোলা, কাঁচা লঙ্কা চেঁরা, আদা বাটা আর হলুদ গুঁড়ো। তেলে সব উপকরণ ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। নারকেল ভাজা ভাজা হলে খেতে ভালো লাগে।
এরপর দিতে হবে সরষে বাটা, বেশি ভাজলে সরষে বাটা তেতো লাগতে পারে, তাই বেশি নাড়াচাড়া করবার দরকার নেই।
এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে কুচানো শসা আর পরিমাণ মতো নুন।
আমি নিরামিষ তরকারি বানাচ্ছি, আপনারা এটা চিংড়ি মাছ দিয়েও এটা বানাতে পারেন। ভাজা চিংড়ি মাছ এ সময় দিয়ে দিতে পারেন।
এবার এটা হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট, তবে মাঝারি আঁচে।
মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে।
শসা থেকে জল বের হয় তাই রান্নার সময় জল দেবেন না। শসার তরকারি শুকনো শুকনো হয়।
১৫ মিনিট পর নামিয়ে নিন শসার তরকারি

মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাক চচ্চড়ি 

 Macher-Matha-Diye-Pui-Saag-Bengali-Recipe

উপকরণ :- মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাক বানানোর জন্য লাগছে পুঁই শাক ২৫০ গ্রাম, ১ টা রুই মাছের মাথা ( আপনারা চাইলে ইলিশ বা কাতলা মাছের মাথা নিতে পারেন), কুমড়ো ২৫০ গ্রাম, ২ টো মাঝারি মাপের আলু, ২ টো পেঁয়াজ, তেজপাতা ১ টা, ২ টো গোটা শুকনো লঙ্কা, পাঁচ ফোড়ন সামান্য, সরষের তেল ১ টেবিল চামচ, গোটা জিরে ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, এলাচ ২ টো, লবঙ্গ ২ টো, দারচিনি এক টুকরো, চিনি ১/২ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ( মাছের মাথাতে মাখানোর জন্য আলাদা হলুদ নিতে হবে), নুন পরিমাণ মতো, আদা-রুসুন বাটা ১ চামচ আর লাগছে ভেজানো ছোলা।


 কি ভাবে বানাবেন মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাক ?

প্রণালী :- প্রথমে সব্জি কেটে নিতে হবে। আলু আর কুমড়ো মাঝারি মাপ করে কাটতে হবে। আলু আর কুমড়ো যেনো এক সাথে সেদ্ধ হয় সেই মতো কাটতে হবে।
এরপর কাটতে হবে পুঁই শাকের ডাঁটা, ডাঁটা কাটতে হবে মাঝারি মাপ করে। ডাঁটার গায়ে যে খোসা থাকে সেগুলো ফেলে দিতে হবে।
পুঁই শাক গুলো কুঁচিয়ে নিতে হবে।
এরপর সব সব্জি ধুয়ে নিতে হবে।
রান্নার প্রথমে গোটা জিরে, এলাচ, লবঙ্গ আর দারচিনি শুকনো কড়াতে ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এটা সব সময় বানানোর চেস্টা করবেন রান্নার ঠিক আগে, এতে গন্ধ টা ভালো আসে, আগে থেকে বানানো গুঁড়ো মশলা ব্যাবহার না করায় ভালো।
মাছের মাথা তে নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে।
এরপর মাছের মাথা ভাজবার জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে দিয়ে দিতে হবে মাছের মাথা।
উল্টে পাল্টে মাছের মাথা ভেজে নিতে হবে। মাছের মাথাটা ভেঙে দিয়ে ভালোভাবে ভেজে তুলে নিতে হবে।
এই তেলেই দিয়ে দিতে হবে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা আর পাঁচ ফোড়ন। সামান্য ভেজে নিতে হবে এতে গন্ধটা ভালো আসবে।
এবার দিতে হবে আলু আর কুমড়ো।
আলু আর কুমড়ো অর্ধেক ভাজা হলে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি আর পুঁই শাকের ডাঁটা। সব উপকরণ ভালোভাবে ভাজতে হবে।
সব উপকরণ ভালোভাবে ভাজা হলে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে ভেজানো ছোলা, আদা-রুসুন বাটা, হলুদ- লঙ্কা গুঁড়ো আর চিনি। এ সময় চিনি দিলে রঙ টা ভালো আসে। কুমড়ো দিয়েছি তাই চিনি দিলাম। আপনারা চায়লে অবশ্যই কম চিনি দিতে পারেন।
মশলা ভালোভাবে ভাজা হলে দিয়ে দিতে হবে পুঁই শাক আর নুন।
পুঁই শাক দেবার পর বেশ কিছুক্ষণ ধরে নাড়াচাড়া করতে হবে।
এরপর দিতে হবে জল। জল একটু বেশি করেই দিতে হবে।
এবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে প্রায় ১০ মিনিট।
১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে আর দিয়ে দিতে হবে মাছের মাথা।
আবার এটা হতে দিতে হবে ৫ মিনিট। রান্না টা একটু শুকনো শুকনো হবে।
নামানোর আগে দিতে হবে রোস্টেড জিরে আর গরম মশলা গুঁড়ো। মিশিয়ে নিলেই তৈরি মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাক।

ধাবা স্টাইলে চিকেন কড়াই রেসিপি

Dhaba-Style-Chicken-Curry



 উপকরণ :- চিকেন ৫০০ গ্রাম, ৩ টে পেঁয়াজ কুঁচি, ২টো টম্যাটো কুঁচি( টম্যাটো আর পেঁয়াজ খুব ছোটো ছোটো করে কাটতে হবে), টক দই ২ টেবিল চামচ, ১ টা তেজপাতা, এলাচ ৩টি, লবঙ্গ ৫ টা, দারচিনি ১ টুকরো, আদা- রুসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, সাদা তেল ১ টেবিল চামচ, ঘি ১ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, ২ টো কাঁচা লঙ্কা চেঁরা, ধনেপাতা কুঁচি, লেবুর রস ১ চামচ আর লাগছে ভাজা গুঁড়ো মশলা( এতে আছে গোটা ধনে ১/২ চামচ, গোটা জিরে ১/২ চামচ, এলাচ ৪ টি, দারচিনি ১ টুকরো, লবঙ্গ ৫ টি, গোল মরিচ ৮টি আর কসৌরি মেথি সামান্য এই সব উপকরণ শুকনো কড়াতে ভেজে গুঁড়ো)।

কি ভাবে বানাবেন ধাবা স্টাইলে চিকেন কড়াই ?


প্রণালি :- প্রথমে চিকেন ম্যারিনেট করে নিতে হবে তাই চিকেনের মধ্যে দিতে হবে নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো ( লঙ্কা আর হলুদ আর্ধেক টা দিতে হবে বাকি গ্রেভি বানানোর সময় দিতে হবে), আর দিতে হবে লেবুর রস। হাত দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে যাতে চিকেনে ভালোভাবে সব উপকরণ মাখা হয়। এবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ফ্রিজে প্রায় ৩০ মিনিট।
৩০ মিনিট পর চিকেন কারি বানানোর জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেলের মধ্যে দিতে হবে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি। তেলে সামান্য ভেজে নিতে হবে যাতে গোটা মশলার গন্ধ টা ভালো আসে।
এরপর দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি। পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে দিয়ে দিতে হবে আদা-রুসুন বাটা, লঙ্কা -হলুদ গুঁড়ো। আদা-রুসুন ভাজা হলে দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি। এটা হতে দিতে হবে যতোক্ষণ না টম্যাটো সেদ্ধ হয়।
টম্যাটো সেদ্ধ হলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে দিতে হবে। চিকেন মশলার সাথে ভাজতে হবে। এ সময় টক দই এ নুন দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে আর দিয়ে দিতে হবে কড়াতে।
এরপর দিতে হবে কাঁচা লঙ্কা চেঁরা, ধনেপাতা কুঁচি, ভাজা গুঁড়ো মশলা আর ঘি। এসময় ঘি দিলে গন্ধ টা ভালো আসে। সব মশলার সাথে চিকেন হতে দিতে হবে প্রায় ৫ -৭ মিনিট।
৭ মিনিট পর জল দিয়ে দিন। জল একটু বেশি করেই দিতে হবে। এবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে প্রায় ২০ মিনিট তবে মাঝারি আঁচে।
২০ মিনিট পর নামিয়ে নিন ধাবা স্টাইলে চিকেন কারি।

আলু পরোটা রেসিপি

Aloo-Paratha-stuffed-paratha-recipe

উপকরণ :- ৬ টা পরোটা বানানোর জন্য লাগছে আটা ২ কাপ, ২ টো সেদ্ধ আলু, ১ টা পেঁয়াজ কুঁচি, ২ টো কাঁচা লঙ্কা কুঁচি, আদা- রুসুন বাটা ১/২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, সাদা তেল ২ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, হলুদ গুঁড়ো সামান্য, জিরে আর ধনে গুঁড়ো দু'টো মিলিয়ে ১/২ চামচ, গোটা মৌরি সামান্য, গরম মশলা গুঁড়ো সামান্য, আমচুর পাউডার ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ আর লাগছে পরোটা ভাজবার জন্য ঘি।

 কি ভাবে বানাবেন আলু পরোটা ?



প্রণালি :- প্রথমে আটা মাখাতে হবে তাই আটা তে সামান্য নুন আর ১ চামচ তেল দিতে হবে। তেল আর নুন আটাতে মিশিয়ে নিয়ে অল্প অল্প জল দিয়ে আটা টা মাখতে হবে। আটা মাখাটা যেনো খুব বেশি নরম বা শক্ত না হয়। আটা মাখা হয়ে গেলে ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে প্রায় ১৫ মিনিট। এরপর সেদ্ধ আলু ২ টো র খোসা ফেলে দিয়ে মেখে নিতে হবে।
এসময় বানিয়ে নিতে হবে পরোটার ভেতরের পুর। কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেলের মধ্যে দিতে হবে গোটা মৌরি আর পেঁয়াজ কুঁচি। পেঁয়াজ ভাজা হলে এক-এক করে দিতে হবে কাঁচা লঙ্কা কুঁচি, আদা-রুসুন বাটা, হলুদ গুড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো আর জিরে-ধনে গুঁড়ো। সব উপকরণ তেলে ভেজে নিতে হবে। এরপর দিতে হবে আলু মাখা, নুন, আমচুর পাউডার আর ধনেপাতা কুঁচি। মশলার সাথে মিশিয়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর এটা ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে।
১৫ মিনিট হয়ে গেলে মাখানো আটা থেকে অল্প নিতে হবে। এরপর ভেতরে পুর দেওয়ার জন্য বাটির মতো গোল করতে হবে। পুর একটু বেশি করেই দিতে হবে। পুর দেওয়ার পর চার ধার থেকে আটা নিয়ে এসে ঢেকে দিতে হবে যাতে পুর না বেড়িয়ে আসে। এবার শুকনো আটা দিয়ে গোল করে বেলতে হবে ঠিক যে ভাবে রুটি বেলা হয় সেই ভাবে বেলতে হবে। রুটির মতো পাতলা করে না বেলে একটু মোটা করে বেলতে হবে। বেশি চাপ দিয়ে বেলার দরকার নেই। এইভাবে ৬টা পরোটাই বেলে নিতে হবে।
পরোটা ভাজবার জন্য প্যান গরম হতে দিতে হবে। প্যান গরম হলে একটা পরোটা দিয়ে দিতে হবে। একপিঠ হয়ে গেলে উল্টে দিতে হবে। দু'পিঠ ভাজা হলে ১ চামচ ঘি দিতে হবে। ঘি দেওয়ার পর পরোটার দু'পিঠ ই ভালোভাবে ভেজে তুলে নিতে হবে। এইভাবে বাকি পরোটা ভেজে নিতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করুন আলুর পরোটা বা আলু পরোটা

দই শরবত রেসিপি

 Doi-Sharbat-Sweet-Lassi-Recipe

উপকরণ :- ২ গ্লাস দই সরবতের জন্য লাগছে টক দই ৪০০ গ্রাম, চিনি ৩ টেবিল চামচ, ৫ টা কাজুবাদাম, কিছু কিশমিশ ভেজানো, নুন ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, কাজু -কিশমিশ কুঁচানো ১ টেবিল চামচ আর লাগছে ১২-১২ টা বরফের টুকরো।

কি ভাবে বানাবেন দই শরবত ?


প্রণালি :- মিক্সির মধ্যে সব উপকরণ এক -এক করে দিয়ে দিতে হবে যেমন দই, চিনি, গোটা কাজু বাদাম, ভেজানো কিশমিশ (ভেজানো কিশমিশ দিলে দই এর সাথে মিশে যায়)। এরপর দিতে হবে নুন আর বরফের টুকরো। সব উপকরণ মিক্সিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। দই  শরবত বানাতে বেশি সময় লাগে না। চিনি গলে গেলেই হয়ে যায়। আমি এখানে ৩ টেবিল চামচ চিনি দিলাম। আপনারা চাইলে অবশ্যই কম বা বেশি চিনি দিতে পারেন। দই  শরবত ২ টি গ্লাসে ঢেলে দিন। এরপর মনের মতো করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। গ্লাসের মধ্যে দিয়ে দিন ১ টা বরফের টুকরো, আর উপরে ছড়িয়ে দিন কাজু - কিশমিশ কুচানো।

বেগুন বাসন্তী / সরষে বেগুন রেসিপি

Begun-Basanti-Traditional-Bengali-Veg-Recipes

উপকরণ :- ১টা বড়ো বেগুন ( ২৫০ গ্রাম), সরষে বাটা ২ টেবিল চামচ, সরষের তেল ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, ২ টো কাঁচা লঙ্কা বাটা, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, নাড়কেল বাটা ২ টেবিল চামচ, নুন পরিমাণ মতো আরর লাগছে নারকেলের দুধ ১ কাপ।

কি ভাবে বানাবেন বেগুন বাসন্তী / সরষে বেগুন ?



প্রণালি :- বেগুনটা বোঁটা সমেত লম্বা লম্বি ৪ ভাগ করে ধুয়ে নিতে হবে।
বেগুনে নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে।
এরপর বেগুন ভাজবার জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে দিয়ে দিতে হবে নুন-হলুদ মাখানো বেগুন। উল্টে পাল্টে বেগুন ভালোভাবে ভেজে তুলে নিতে হবে।
এই তেলেই গ্রেভি বানানোর জন্য দিয়ে দিতে হবে নারকেল বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, আদা বাটা আর হলুদ গুঁড়ো।
সব উপকরণ তেলে ভেজে নিতে হবে। নারকেল বাটা ভাজা ভাজা হলে গ্রেভি খেতে ভালো লাগে। আমি এখানে ২ টো কাঁচা লঙ্কা বাটা দিলাম। আপনারা চাইলে অবশ্যই কম বা বেশি দিতে পারেন।
এরপর দিতে হবে নারকেলের দুধ আর নুন।
সরষে বাটা তে জল দিয়ে গুলিয়ে নিতে হবে। আর এই সরষে বাটা টা একটা ছাকুনি তে ছেঁকে দিয়ে দিতে হবে গ্রেভিতে।
এরপর এটা হতে দিতে হবে ৫ মিনিট। মনের মতো গ্রেভি রেখে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে আর এটা ঢেলে দিতে হবে ভাজা বেগুনের মধ্যে।
তৈরি বেগুন বাসন্তী।

চিলি-সয়া চাঙ্কস রেসিপি

 Soya-Chilli-Recipe-soyabean-Chilly

উপকরন :- সোয়াবিন ১ বাটি, পরিমাণ মতো নুন, গোল মরিচ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, আদা-রুসুন বাটা ১/২ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, সোয়া সস ১ চামচ, ভিনিগার ১ চামচ, টম্যাটো সস ২ টেবিল চামচ, সাদা তেল, আদা- রুসুন কুঁচি ১/২ চামচ, ধনেপাতা কুঁচি ১টেবিল চামচ, ডিম ১ টা, রেড চিলি সস ১ চামচ, ২ টো পেঁয়াজ, অর্ধেক গাজর, অর্ধেক ক্যাপসিকাম আর লাগছে দুটো কাঁচা লঙ্কা।

কি ভাবে বানাবেন চিলি-সয়া রেসিপি ?



প্রণালী :- প্রথমে সোয়াবিন ভেজানোর জন্য একটি পাত্রে জল নিয়ে গরম হতে দিতে হবে। জলের মধ্যে দিতে হবে নুন আর সোয়াবিন। এটা হতে দিতে হবে ৩ মিনিট এর মতো।
৩ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে আর সোয়াবিন ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
এ সময় সব্জি কেটে নিতে হবে। ক্যাপসিকাম, গাজর আর পেঁয়াজ সরু সরু করে কেটে নিতে হবে। আপনারা চাইলে একটু মোটা মোটা করেও সব্জি কাটতে পারেন। লঙ্কা একটু আরচে করে কেটে নিতে হবে।
সোয়াবিন ঠান্ডা হলে জল থেকে নিংড়ে তুলে নিতে হবে একটি পাত্রে।
এরপর সোয়াবিনের মধ্যে দিতে হবে সোয়া সস ১/২ চামচ, রেড চিলি সস, ১ চামচ টম্যাটো সস, লঙ্কা গুঁড়ো, আদা- রুসুন বাটা, দিতে হবে নুন সামান্য, ডিম টা ফাটিয়ে দিয়ে দিতে হবে ওর মধ্যে, আর দিতে হবে ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার এর ৩ ভাগের ২ ভাগ। হাত দিয়ে সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে।
সোয়াবিন ডুবো তেলে ভাজবার জন্য তেল গরম হতে দিতে হবে।
তেল গরম হলে সোয়াবিন দিয়ে দিতে হবে। তারপর সোয়াবিন ভাজা হলে তুলে নিন।
এরপর সোয়া চিলি বানানোর জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে।
তেলের মধ্যে দিতে হবে পেঁয়াজ আর গাজর কুঁচি। সব সব্জি বেশি ভাজবার দরকার নেই।
পেঁয়াজ আর গাজর হালকা ভাজা হলে দিয়ে দিতে হবে আদা-রুসুন কুঁচি, ক্যাপসিকাম আর কাঁচা লঙ্কা কুঁচি। আবার দিতে হবে সামান্য নুন। সব উপকরণ নাড়াচাড়া করে নিতে হবে তবে বেশি ভাজবার দরকার নেই, একটু সেঁতলে নিলেই হবে।
এরপর দিতে হবে ভিনিগার, সোয়া সস, টম্যাটো সস আর দিতে হবে বাকী যে কর্নফ্লাওয়ার ছিলো তার মধ্যে অল্প জল দিয়ে গুলিয়ে নিয়ে ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
সামান্য নাড়াচাড়া করে নিয়ে ভাজা সোয়াবিন দিয়ে দিতে হবে। সোয়াবিন সব্জির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ৫ মিনিট, তবে মাঝে একবার ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিতে হবে।
৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে। নামানোর আগে দিতে হবে গোল মরিচ গুঁড়ো আর ধনেপাতা কুঁচি।
মিশিয়ে নিলেই তৈরি সোয়া চিলি বা চিলি-সয়া চাঙ্কস।

ডিমের কুসুমের কোরমা রেসিপি

Egg-korma-Egg-masala-recipe

উপকরণ :- ডিম ৬ টা, দু'টো পেঁয়াজ কুঁচি, নাড়কেল বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরে গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, ধনে গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, ১ টা বড়ো টম্যাটো সেদ্ধ করে বীজ আর খোসা ফেলে বেটে নিতে হবে, ৩ টি কাঁচা লঙ্কা বাটা, আদা-রুসুন বাটা ১/২ চামচ, কিশমিশ বাটা ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, এলাচ ৩ টি, লবঙ্গ ৪ টি, দারচিনি ১ টুকরো, গোল মরিচ ৪ টি, নারকেলের দুধ প্রায় ২ কাপ, ঘি ১/২ চামচ আর লাগছে সাদা তেল।


 কি ভাবে বানাবেন ডিমের  কোরমা ?


প্রণালি :- ডিমের কুসুম ডুবো তেলে ভাজবার জন্য তেল গরম হতে দিতে হবে।
এরপর একটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে নিতে হবে। সব ডিম এক সাথে না ফাটিয়ে একটা একটা করে ডিম ফাটাতে হবে। একটা ডিম ফাটানোর পর একটি বড়ো চামচ দিয়ে সাবধানে ডিমের কুসুমটা তুলে নিতে হবে, সাদা আংশ নিলে হবে না।
ডিমের কুসুম টা দিয়ে দিতে হবে তেলে। প্রথমে তেল গরম করে নেবেন, কিন্তু ডিমের কুসুম দেবার সময় আঁচ কমিয়ে দেবেন। এক এক করে বাকী ডিম ফাটিয়ে ডিমের কুসুম তেলে দিয়ে দিতে হবে।
একপিঠ হয়ে গেলে উল্টে দিতে হবে। ডিমের কুসুম ভাজা হলে তুলে নিতে হবে।
ডিমের কুসুমের কোরমা বানানোর জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেলের মধ্যে দিতে হবে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি আর গোল মরিচ। তেলে সামান্য ভেজে নিয়ে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ বাটা, আর নুন। এ সময় নুন দিলে তেল ছিটকাবে না। তেলে ভালোভাবে পেঁয়াজ বাটা ভাজতে হবে। যে কোনো রান্নাতেই ভালোভাবে ভাজবেন, যেন পেঁয়াজ এর কাঁচা গন্ধটা চলে যায়।
ভাজা পেঁয়াজ এর মধ্যে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে কাঁচা লঙ্কা বাটা, আদা-রুসুন বাটা, হলুদ-লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে-জিরে গুঁড়ো আর নারকেল বাটা।
সব উপকরণ তেল ভেজে নিতে হবে। কাঁচা লঙ্কা বাটা আর লঙ্কা গুঁড়ো দেখে দেবেন। আপনারা চাইলে কম বা বেশি দিতে পারেন।
নারকেল বাটা ভাজা ভাজা হলে খেতে ভালো লাগে।
এরপর দিতে হবে সেদ্ধ করা টম্যাটো বাটা, কাজুবাদাম বাটা আর কিশমিশ বাটা।
সব উপকরণ ভেজে নিয়ে দিয়ে দিতে হবে নারকেলের দুধ।
পেঁয়াজ ভাজবার সময় নুন দিয়েছিলাম, তাই আর নুন দিচ্ছি না। যদি মনে হয় আরও নুন লাগবে তা হলে আপনারা এ সময় নুন দিতে পারেন।
ঝোল ফুটে উঠলে দিয়ে দিতে হবে ভাজা ডিমের কুসুম। আঁচ কমিয়ে হতে দিতে হবে ১০ মিনিট। না হলে গ্রেভি গাঢ় ছিটকাবে। মাঝে একবার ডিমের কুসুম গুলো উল্টে দিতে হবে।
নামানোর আগে দিতে হবে ঘি।
মিশিয়ে নিলেই তৈরি ডিমের কুসুমের কোরমা

ভেজ বিরিয়ানি রেসিপি

Vegetable-Biryani-Recipe-Bengali-Style

উপকরণ :- বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, কিছু সব্জি মাঝারি মাপ করে কাটা যেমন ফুলকপি- বিনস আর গাজর, পনীর মাঝারি মাপ করে কাটা(পনীর আর সব্জি সব মিলিয়ে আছে প্রায় ৫০০ গ্রাম), মটর শুঁটি সেদ্ধ, কিছু কাজুবাদাম - কিশমিশ, টকদই১ কাপ, আদা-রুসুন বাটা ১ চামচ,২ টো পেঁয়াজ বাটা,২ টো পেঁয়াজ ডুবো তেলে ভাজা, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, ৪টি গোটা কাঁচা লঙ্কা,নুন পরিমাণ মতো, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ, গোল মরিচ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, ঘি ১ টেবিল চামচ, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ টো, স্টার এনিস ২ টো, দারচিনি ৪ টি, লবঙ্গ ৬ টি, এলাচ ৬ টি, শুকনো আদা ২ টুকরো।

কি ভাবে বানাবেন ভেজ বিরিয়ানি রেসিপি ?



প্রণালি :- রান্নার ৩০ মিনিট আগে বাসমতী চাল ধুয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। এরপর সব সব্জি যেমন ফুলকপি, বিনস আর গাজর সামান্য হলুদ দিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে নিতে হবে। সব্জি সেদ্ধ করার সময় মনে রাখবেন গাজর আগে দেওয়ার। কিছুক্ষণ পর বিনস- ফুলকপি দেবেন, কারণ গাজর শক্ত হয়। এরপর সেদ্ধ করা সব্জি ভাজবার জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। গরম তেলে দিয়ে দিতে হবে সেদ্ধ করা সব্জি। সব্জি অর্ধেক ভাজা হলে সেদ্ধ করা মটর শুঁটি, কাজুবাদাম, কিশমিশ দিয়ে দিতে হবে। সব উপকরণ ভেজে নিতে হবে। ভাজা সব্জি তুলে নিয়ে কড়াতে আবার সামান্য তেল দিতে হবে। তেলে পনীর ভেজে তুলে নিতে হবে। পনীর বেশি ভাজবার দরকার নেই, বেশি ভাজলে শক্ত হয়ে যায়। ভাজা পনীর তুলে নিতে হবে।
গ্যাসের একদিকে গ্রেভি বানাতে হবে আর অন্য দিকে বিরিয়ানি র রাইস বানাতে হবে। প্রথমে রাইস বানানোর জন্য একটি পাত্রে জল নিয়ে গ্যাসে বসাতে হবে। জলের মধ্যে দিতে হবে তেজপাতা, এলাচ -লবঙ্গ -দারচিনি, স্টার এনিস, শুকনো আদা আর দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন।
জল ফুটে উঠলে দিয়ে দিতে হবে গোটা কাঁচা লঙ্কা আর ভেজানো চাল। ভাত হতে থাক এসময় গ্যাসের অপর দিকে গ্রেভি বানিয়ে নিতে হবে।
কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ বাটা। পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে দিতে হবে আদা-রুসুন বাটা।
আদা-রুসুন তেলে ভাজার পর এক এক করে দিতে হবে লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা আর নুন দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে টক দই।
টক দই এ নুন মিশিয়ে গ্রেভিতে দিলে দই ফেটে যাওয়ার ভয় থাকেনা।
টক দই যে পাত্রে নেওয়া হয়েছিলো সেই পাত্রটা জলে ধুয়ে কড়াতে দিয়ে দিতে হবে।
মাঝে মাঝে ভাত দেখতে হবে। ভাত ৯০ ভাগ হবে আর বাকি ১০ ভাগ দমে হবে। ভাত তৈরি হলে ছিদ্র থাকা একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে।
এসময় গ্রেভির মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ধনেপাতা কুঁচি, ভেজে রাখা সব্জি পনীর আর ওপরে দিয়ে দিতে হবে গরম ভাত।
ভাত সমান করে নিতে হবে। ওপরে দিতে হবে ঘি, ভাজা পেঁয়াজ আর গোল মরিচ গুঁড়ো।
এরপর এটা হতে দিতে হবে ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে প্রায় ১০ মিনিট তবে মাঝারি আঁচে।
১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে সব উপকরণ মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ভেজ বিরিয়ানি।

রুই মাছের ভাপা রান্না

Rui-Bhapa-Bengali-fish-curry-recipe

উপকরণ :- রুই মাছের পিস ৩ টি, নারকেল বাটা ১ টেবিল চামচ, ১ টা টম্যাটো সেদ্ধ করে খোসা ফেলে দিয়ে বেটে নিতে হবে, সরষের তেল ২ চামচ, পোস্ত বাটা ১ চামচ, কাজুবাদাম বাটা ১ চামচ, সরষে বাটা ১ টেবিল চামচ, ৩ টি চেঁরা কাঁচা লঙ্কা, লঙ্কা গুঁড়ো আধা চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ আর লাগছে নুন পরিমাণ মতো।

কি ভাবে বানাবেন রুই মাছের ভাপা ?


প্রণালি :- প্রথমে রুই মাছের পিস গুলো তে নুন আর হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
এরপর সব মশলা এক সাথে মেশানোর জন্য একটি পাত্র নিতে হবে। ওর মধ্যে এক এক করে দিতে হবে টম্যাটো বাটা, নারকেল বাটা, পোস্ত বাটা, কাজুবাদাম বাটা, লঙ্কা- হলুদ গুঁড়ো, সরষে বাটা আর ১ কাপের মতো জল। সব মশলা মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। গরম তেলের মধ্যে দিতে হবে নুন- হলুদ মাখানো মাছ। মাছ উল্টে পাল্টে ১ মিনিট ভাজতে হবে। আপনারা মাছ না ভেজেও রুই মাছের ভাপা বানাতে পারেন। তখন মাছ আর সব মশলা এক সাথে মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দেবেন। তারপর সব উপকরণ কড়াতে দিয়ে ঢাকা দিয়ে বানাতে পারেন।
ইলিশ মাছের ভালো গন্ধ থাকে কিন্তু রুই মাছের গন্ধ থাকে তাই আমি একটু ভেজে নিয়ে রুই মাছের ভাপা বানাই, আর খেতেও ভালো লাগে।
মাছ ভাজার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে মশলার মিশ্রন।
এরপর ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে প্রায় ২০ মিনিট আঁচ কমিয়ে। কিন্তু মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে।
২০ মিনিট পর ঢাকা খুলে ওপরে ছড়িয়ে দিতে হবে সামান্য কাঁচা সরষের তেল।
মিশিয়ে নিলেই তৈরি রুই মাছের ভাপা।

সোয়াবিন আলু পোস্ত রেসিপি

Soyabean-Aloo-Posto-Bengali-Recipe

উপকরণ :- সোয়াবিন, ২ টো আলু মাঝারি মাপ করে কাটা ( আলু আর সোয়াবিন দুটো মিলিয়ে প্রায় ২৫০ গ্রাম), ৬ টা কাঁচা লঙ্কা কুঁচি, ২ টো পেঁয়াজ কুঁচি, ২ টো টম্যাটো কুঁচি, নাড়কেল বাটা ১ টেবিল চামচ, নুন পরিমাণ মতো, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, বাদাম গুঁড়ো ১ চামচ( বাদাম শুকনো কড়াতে ভেজে গুঁড়ো করা), পাঁচ ফোড়ন সামান্য, পোস্ত বাটা ৩ টেবিল চামচ আর লাগছে তেল ২ টেবিল চামচ।
 

কি ভাবে বানাবেন সোয়াবিন আলু পোস্ত ?

প্রণালি :- রান্নার ১০ মিনিট আগে হালকা গরম জলে সোয়াবিন ভিজিয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট সোয়াবিন জল থেকে নিংড়ে তুলে নিতে হবে।
সোয়াবিন আলু পোস্ত বানানোর জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেলে আলু দিয়ে ভেজে তুলে নিতে হবে।
ওই তেলেই দিয়ে দিতে হবে সোয়াবিন। সোয়াবিন ভালোভাবে ভাজতে হবে। ভাজা সোয়াবিন তুলে নিতে হবে।
সোয়াবিন তুলে নেওয়ার পর কড়াতে আবার তেল দিতে হবে।
তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পাঁচ ফোড়ন। এরপর দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি।
পেঁয়াজ ভাজা হবে ওর মধ্যে দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি, কাঁচা লঙ্কা কুঁচি, হলুদ গুঁড়ো আর নুন। এ সময় নুন দিলে টম্যাটো তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায়। আমি এখানে ৬ টা কাঁচা লঙ্কা দিলাম আপনারা চাইলে অবশ্যই কম বা বেশি দিতে পারেন।
টম্যাটো সেদ্ধ হলে নাড়কেল বাটা আর পোস্ত বাটা দিয়ে দিতে হবে।
সামান্য নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। নাড়কেল বাটা ভাজা ভাজা হলে গ্রেভিও খেতে ভালো হয়।
এরপর দিতে হবে জল। জল একটু বেশি করেই দিতে হবে। যেনো আলু - সোয়াবিন সেদ্ধ হয়।
এরমধ্যে দিতে হবে ভেজে রাখা সোয়াবিন- আলু আর ভাজা বাদাম গুঁড়ো।
সব উপকরণ মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট।
১৫ মিনিট পর নামিয়ে নিন সোয়াবিন আলু পোস্ত।

 আম পান্না রেসিপি

 Aam-panna-recipe-Summer-drinks

উপকরণ :- ৩ গ্লাস আম পান্না বানানোর জন্য লাগছে ১ টা মাঝারি মাপের কাঁচা আম, চিনি ২ টেবিল চামচ( চিনি সম্পূর্ন নির্ভর করে আমের উপর, আম যদি টক হয় তাহলে বেশি চিনি লাগে আর যদি আম মিস্টি হয় তাহলে কম চিনি লাগে), লেবু ১/২, বিটনুন ১/২ চামচ, জিরে গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ভাগ( গোটা জিরে কে শুকনো কড়াতে ভেজে গুঁড়ো করা, আগে থেকে বানানো জিরে গুঁড়ো ব্যবহার না করে যখন আম পান্না বানাবের ঠিক তার আগে জিরে গুঁড়ো বানাবেন, এতে গন্ধটা ভালো আসে), গোটা কয়েক পুদিনা পাতা, বরফের টুকরো আর লাগছে ২ গ্লাস জল।

কি ভাবে বানাবেন আম পান্না ?



প্রণালি :- প্রথমে কাঁচা আম সেদ্ধ করে নিতে। সেদ্ধ আম ঠাণ্ডা হলে, আমের শাঁস নিতে হবে। আমের বীজ আর খোসা ফেলে দিতে হবে।
আম পান্না বানানোর জন্য মিক্সিতে এক এক করে সব উপকরণ দিতে হবে - আমের শাঁস, চিনি, রোস্টেড জিরে গুঁড়ো, বিটনুন, পুদিনা পাতা, বরফের টুকরো, জল আর লেবুটা ছাকুনি তে ছেঁকে দিয়ে দিতে হবে। বরফের টুকরো একটু বেশি করে দেবেন। মিক্সিতে সব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
এএরপর গ্লাসে ঢেলে নিতে হবে। যদি আমের চঁচ থাকে তা হলে ছাকুনি তে ছেঁকে গ্লাসে ঢালবেন।
গ্লাসের মধ্যে দিয়ে দিন ১ টা বরফের টুকরো। মানের মতো সাজিয়ে পুদিনা পাতা আর লেবু দিয়ে পরিবেশন করুন আম পান্না।

পটলের কোরমা রেসিপি 

 Potol-Korma-Recipe-Bengali-Vegetarian-Dish

উপকরণ :- পটল ২৫০ গ্রাম, ১ টা বড়ো টম্যাটো কুঁচি, ২ টো পেঁয়াজ কুঁচানো, কাজুবাদাম বাটা ১ চামচ, পোস্ত বাটা ১ চামচ, ঘি ১/২ চামচ, কিছু কাজু-কিশমিশ, সাদা তেল বা সরষের তেল ১ টেবিল চামচ, নুন পরিমাণ মতো, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, জিরে গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ, আদা-রুসুন বাটা ১ চামচ, ১ টা কাঁচা লঙ্কা ২ ভাগ করে নিতে হবে, ধনেপাতা কুঁচি, গোটা এলাচ ২ টো, দারচিনি ১ টুকরো আর লবঙ্গ ৩টি।

কি ভাবে বানাবেন পটল কোরমা ?




প্রণালি :- প্রথমে পটল ধুয়ে দু'ধার কেটে নিতে হবে। খোসা সব না রেখে, মাঝে মাঝে খোসা রেখে বাকী খোসা ফেলে দিতে হবে। এবার ছুরি দিয়ে মাঝ বরাবর ৩-৪ বার চিঁরে দিতে হবে, কিন্তু পুরপুরি লম্বা লম্বি চিঁরার দরকার নেই। আসলে রান্না তে গোটা পটল থাকবে। এইভাবে চেঁরার কারন পটলের ভেতর যাতে মশলা ভালোভাবে ঢোকে। সব পটল কাটার পর পরিমাণ মতো নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে।
পটলের কোরমা বানানোর জন্য প্রথমে পটল ভাজতে হবে তাই কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। তেলের মধ্যে দিতে হবে পটল। পটল ভালোভাবে ভেজে তুলে নিতে হবে। ওই তেলেই ফোড়ন দিতে হবে এলাচ- লবঙ্গ আর দারচিনি। এলাচ সব সময় ফাটিয়ে তেলে দেবেন। তেলে সামান্য ভেজে নিলে গন্ধ টা ভালো আসে। এরপর দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি। পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে কাজু-কিশমিশ, আদা- রুসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো আর কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো। কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিলে গ্রেভির রঙ টা ভালো আসে। তেলে সব উপকরণ ভেজে নিতে হবে। এবার দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি আর নুন। এ সময় নুন দিলে টম্যাটো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়।
টম্যাটো ভালোভাবে সেদ্ধ হলে ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে কাঁচা লঙ্কা, পোস্ত বাটা আর কাজুবাদাম বাটা। তেলে একটু ভেজে নিয়ে ২ কাপ এর মতো জল দিতে হবে। এরপর ভাজা পটল ও দিয়ে দিতে হবে। এবার এটা হতে দিতে হবে প্রায় ১০ মিনিট, তবে মাঝারি আঁচে যাতে পটলের ভেতর মশলা ভালোভাবে ঢোকে। মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।
১০ মিনিট পর নামানোর আগে দিয়ে দিন ঘি আর ধনেপাতা কুঁচি। মিশিয়ে নিলেই তৈরি পটলের কোরমা।


মুড়ি ঘন্ট রেসিপি

Bengali-Muri-Ghonto-Recipe-rui-macher-muri-ghonto

 উপকরণ :- ১ টা রুই মাছের মাথা, গোবিন্দ ভোগ চাল ১/২ কাপ, ১ টা বড়ো পেঁয়াজ কুঁচি, ১ টা বড়ো টম্যাটো কুঁচি, ১ টা আলু ছোট টুকরো টুকরো করে নিতে হবে, আদা- রুসুন বাটা ১ চামচ, জিরে বাটা ১/২ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ, কিছু কাজু- কিশমিশ, নুন পরিমাণ মতো, ঘি ১ চামচ, সরষের তেল ১ টেবিল চামচ, চিনি সামান্য, গোল মরিচ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, গরম মশলা গুঁড়ো -জায়ফল গুঁড়ো আর রোস্টেড ধনে গুঁড়ো সব মিলিয়ে আছে প্রায় ১ চামচ এর চার ভাগের ১ ভাগ, তেজপাতা ১ টা, এলাচ ৩ টি, লবঙ্গ ৪ টি আর লাগছে দারচিনি ১ টা।

 রুই মাছের মুড়ি ঘন্ট কিভাবে বানাবেন ?


প্রণালি :- প্রথমে মাছের মাথাতে নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে। তারপর গোবিন্দ ভোগ চাল ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিতে হবে।
এরপর কড়া গরম করে ঘি দিতে হবে। ঘি গলে গেলে দিয়ে দিতে হবে জল ঝাড়ান গোবিন্দ ভোগ চাল। চাল অল্প ভেজে তুলে নিতে হবে।
এরপর কড়াতে তেল দিতে হবে। গরম তেলে আলু দিতে হবে। আলু ভাজা হলে সামান্য হলুদ দিয়ে অল্প একটু নাড়াচাড়া করে তুলে নিতে হবে। ওই তেলেই দিয়ে দিতে হবে মাছের মাথা। মাছের মাথা উল্টে পাল্টে লাল করে ভাজতে হবে। মাছের মাথা ভাজা হলে নরম হয়ে যায়, আর যেহেতু ঘণ্ট বানানো হবে তাই মাথা ভেঙে দিতে হবে। এতে করে মাছের মাথা ভালোভাবে ভাজা হয়।
মাছের মাথা ভাজা হলে তুলে নিতে হবে।
এরপর ওই তেলেই দিতে হবে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ আর তেজপাতা। এলাচ ফাটিয়ে তবেই গরম তেলে দেবেন।
এবার দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি।
পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে ওর মধ্যে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে কাজু- কিশমিশ, জিরে বাটা, আদা-রুসুন বাটা, হলুদ- লঙ্কা গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো আর চিনি।
সব মশলা তেলে ভেজে নিতে হবে।
এরপর দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি আর নুন। এসময় নুন দিলে টম্যাটো তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায়।
টম্যাটো সেদ্ধ হলে একটু বেশি করে জল দিতে হবে। ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ভাজা আলু, চাল আর ভাজা মাছের মাথা।
এরপর এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট। মাঝে দু'বার ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিতে হবে।
১৫ মিনিট পর দেখে নিন আলু সেদ্ধ হয়েছে কিনা।
নামানোর আগে দিতে হবে ঘি, রোস্টেড ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো আর জায়ফল গুঁড়ো। মিশিয়ে নিলেই তৈরি মুড়ি ঘণ্ট।

চিংড়ি মাছের কালিয়া রেসিপি

 Chingri-macher-Kaliya

উপকরণ :- গলদা চিংড়ি ৫০০ গ্রাম, তেজপাতা ১ টা, লবঙ্গ ৩টি, এলাচ ২ টো, দারচিনি এক টুকরো, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ, চিনি সামান্য, কিছু কিশমিশ, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ১/২ চামচ, জিরে বাটা ১ চামচ, ধনে বাটা ১/২ চামচ, কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, ১০ টা গোল মরিচ বাটা, নুন পরিমাণ মতো, ঘি ১/২ চামচ, সরষের তেল ১ টেবিল চামচ, টক দই ২ চামচ, আদা-রুসুন বাটা ১ চামচ, ১ টা টম্যাটো সরু লম্বা লম্বা করে কাটা, ২ টো বড়ো পেঁয়াজ কুঁচি আর লাগছে গরম মশলা গুঁড়ো সামান্য।

 চিংড়ি মাছের কালিয়া কিভাবে বানাবেন ? 

প্রণালি :- প্রথমে গলদা চিংড়ি গুলো কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর চিংড়ি মাছে নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে।
চিংড়ি মাছের কালিয়া বানানোর জন্য প্রথমে চিংড়ি মাছ ভেজে তুলে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ বেশি ভাজলে শক্ত হয়ে যায়, তাই বেশি ভাজবার দরকার নেই। চিংড়ি মাছ ভাজা হলে সুন্দর একটা রং আসে।
মাছ ভাজা হলে তুলে নিতে হবে। ওই তেলেই দিয়ে দিতে হবে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ আর দারচিনি। এলাচ সবসময় ফাটিয়ে তবেই তেলে দেবেন। অল্প ভাজতে হবে, তবেই গন্ধটা ভালো আসে।
এরপর দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি। গ্রেভির স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে পেঁয়াজ ভাজার ওপর। তাই সব সময় পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজবেন।
ভাজা পেঁয়াজ এর মধ্যে এক- এক করে দিয়ে দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি, হলুদ - লঙ্কা গুঁড়ো, আদা-রুসুন বাটা, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, চিনি কিশমিশ, ধনে বাটা, জিরে বাটা, কাজুবাদাম বাটা আর গোল মরিচ বাটা। সব উপকরণ তেলে ভাজতে হবে। কাজুবাদাম বাটা দেওয়া আছে তাই নিচে লেগে যেতে পারে তাই মশলা নাড়তে হবে। মশলা দেওয়া থেকে মশলা কষা পর্যন্ত আপনারা এটা মাঝারি আঁচে বানাতে পারেন।
মশলা কষা হলে দিতে হবে টক দই। টক দই দেওয়ার আগে নুন দিয়ে ফেটিয়ে তবেই দেবেন। এতে করে হয় কি, টক দই গ্রেভিতে দিলে ফেটে যাওয়ার ভয় থাকে না। টক দই পাত্রে লেগে থাকলে জল দিয়ে ধুয়ে মশলার মধ্যে দিয়ে দিন।
টক দই আর মশলা প্রায় ৩ মিনিট এর মতো হতে দিতে হবে।
এরপর দিতে হবে জল। একটু বেশি করেই জল দিতে হবে। ওর মধ্যে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ দিয়ে দিতে হবে।
এটা হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট। তবে মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।
নামানোর আগে দিতে হবে গরম মশলা গুঁড়ো আর ঘি।
মিশিয়ে নিলেই তৈরি চিংড়ি মাছের কালিয়া



পটল চিংড়ি

potol-chingri-recipe-bengali-recipes  

উপকরণ :- পটল ৫০০ গ্রাম, চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, ২ টো আলু, আদা-রুসুন বাটা ১ চামচ, জিরে বাটা ১ চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ( এটা আমি নিয়েছি গ্রেভির রং এর জন্য, আপনারা চাইলে এটা নাও দিতে পারেন), হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, ঘি ১/২ চামচ, পাঁচ ফোড়ন সামান্য, তেজপাতা ১ টা, গরম মশলা গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, জায়ফল গুঁড়ো সামান্য, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ আর লাগছে ১ টা বড়ো পেঁয়াজ কুঁচি।


 কিভাবে বানাবেন পটল চিংড়ি রেসিপি?  


প্রণালি :- প্রথমে চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে নিয়ে, নুন - হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে।
পটলের দু'ধার কেটে, মাঝে মাঝে খোসা ফেলে দিয়ে দু'ভাগ করে নিতে হবে।
এরপর কাটতে হবে আলু। আলু গুলো ৬ ভাগ করে কাটতে হবে,একটু বড়ো করেই কাটতে হবে।
সব্জি ভাজবার জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। প্রথমে আলু ভাজতে হবে। আলু ভাজা হলে সামান্য হলুদ দিতে হবে। এতে রং টা ভালো আসে। আলু ভাজা হলে তুলে নিতে হবে, তারপর ওই তেলেই দিয়ে দিতে হবে পটল। পটল ভাজা হলে ওতে সামান্য হলুদ দিয়ে অল্প একটু নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর ভাজতে হবে চিংড়ি মাছ। আপনারা চাইলে এটা কুঁচো চিংড়ি দিয়েও এটা বানাতে পারেন। চিংড়ি মাছ ভালোভাবে ভাজা হলে তুলে নিতে হবে।
কড়াতে আবার তেল দিতে হবে। তেলে দিতে হবে তেজপাতা আর পাঁচ ফোড়ন। সামান্য নাড়াচাড়া করলে ফোড়নের গন্ধটা ভালো আসে। এরপর দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি। পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হলে গ্রেভি খেতে ভালো লাগে।
পেঁয়াজ ভাজা হলে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে জিরে বাটা, আদা- রুসুন বাটা, হলুদ -লঙ্কা গুঁড়ো আর কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো।
তেলে সব উপকরণ ভেজে নিয়ে, দিতে হবে জল। জল একটু বেশি করেই দিতে হবে।
এরমধ্যে দিয়ে দিতে হবে ভাজা আলু, আর নুন। এবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১০ মিনিট।
১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে আর দিয়ে দিতে হবে ভেজে রাখা পটল আর চিংড়ি মাছ।
আবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে প্রায় ১০ মিনিট আর মাঝে একবার ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে।
১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে। নামানোর আগে দিতে হবে গরম মশলা গুঁড়ো, ঘি আর জায়ফল গুঁড়ো। জায়ফল গুঁড়ো কিন্তু খুবই সামান্য দেবেন। মিশিয়ে নিলেই তৈরি পটল চিংড়ি




MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget