সুস্থ থাকুন

Latest Post

একইরকম খাবার খেয়ে বিরক্ত? বৈচিত্র আনুন এভাবে

রান্না করতে ভালোলাগে যাদের, লকডাউনের পর্বটা তাদের মন্দ কাটছে না। পরিবারের সবার জন্য রান্না করার কাজটা তারা আনন্দের সঙ্গেই করছেন। কিন্তু রান্নায় যারা ততটা পারদর্শী নন, আবার বাজারটাও গুছিয়ে করা হয়নি তারা একটু মুশকিলেই পড়েছেন। প্রতিদিনই সেই ডিম-আলু-ডাল-ভাত রাঁধতে রাঁধতে একঘেয়ে লাগাটাই স্বাভাবিক। এমন মুশকিলে যদি আপনিও পড়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই সমাধান। জেনে নিন রান্নায় বৈচিত্র আনার উপায়-

ভাত: ভাত খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি হজম করা সহজ। খাওয়ার পরে বাড়তি ভাত থেকে গেলে তা দিয়ে নানা মজাদার পদ রেঁধে নিতে পারবেন। যেমন ধরুন, একটা ডিম বা খানিকটা মুরগির মাংস অথবা চিংড়ি সাদা তেলে রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ বা কিছু সবজিসহ ভেজে নিন, হাতের কাছে কোনো সস থাকলে মেশান, লবণ-চিনি দিন। শেষে ভাত দিয়ে ভেজে নিলেই চমৎকার ফ্রায়েড রাইস তৈরি হয়ে যাবে। কাটবে রান্নার একঘেঁয়ে স্বাদটাও। এদিকে খুব সহজেই আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন সুস্বাদু খাবার।

ডাল: এই সময়ে প্রোটিনের সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস হলো ডাল। সব রকম ডাল কিনে রাখা উচিত। মটর ডাল বেটে নিন অল্প আদা, কাঁচা মরিচ আর জিরা দিয়ে। তার পর সামান্য তেল, কালোজিরা, লবণ-হলুদ দিয়ে ফেটিয়ে নিয়ে ভেজে নিন তেলে। দারুণ সুস্বাদু বড়া তৈরি হবে। তা দিয়ে হালকা ঝোলও রান্না করে নিতে পারেন। টিফিন বক্সে এই মিশ্রণ ভরে মাইক্রোওয়েভে দিন। মিনিট সাতেক চড়া আঁচে রান্না করে নিলেই সেট করে যাবে। তার পর বের করে কেটে ভেজে নিন। আর ডালের ফোড়ন নিয়ে তো অনেকরকম এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। নানা রকম খিচুড়ি রাঁধুন, সবজি মেশান- দারুণ লাগবে খেতে।

ডিম: ডিমের রান্না মানেই কিন্তু সেদ্ধ, ভাজা, পোচ, না। আফ্রিকার সর্বত্র ‘শাকশুকা’ বলে একটি পদ দারুণ জনপ্রিয়। সেটি মূলত টমেটো, আদা, রসুন পেঁয়াজের গ্রেভি। ঝোল ফুটতে আরম্ভ করলে তার উপর সাবধানে একটি একটি করে ডিম ভেঙে দিয়ে দিন। ঝোল আর পোচ একসঙ্গে রেডি হয়ে যাবে। তৈরি করতে পারেন ভাপা ডিম, ডিমের পাতুরি। এগুলোও বেশি সুস্বাদু। রান্নার একঘেয়ে ভাব কেটে যাবে দ্রুত।


হঠাৎ ভাইরাল ডালগোনা কফি, তৈরি করবেন যেভাবে

মানুষ বাড়িতে বন্দি থাকলেও, থেমে নেই সোস্যাল মিডিয়ায় বিচরণ। একে অন্যের সঙ্গে নতুন নতুন ভাবনা শেয়ার করছেন তারা। তেমনিভাবে হঠাৎই ভাইরাল একটি খাবারের নাম। উপাদেয় এই খাবারটি আসলে কফি দিয়ে তৈরি এক ধরনের পানীয়। যার নাম ডালগোনা কফি।

কফি তৈরির সাধারণ রেসিপি পাল্টে দিয়ে যখন শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনই তৈরি হয় একেক রকমের ড্রিংক। যেমন এই ডালগোনা কফি। নামটি বেশ ভারিক্কি, কিন্তু উপকরণ বেশ সহজ।

এত সহজ, বাহারের জিনিস ভাইরাল হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। এমনিই জিনিসপত্র কম লোকজনের হাতে। এখানে উপকরণ লাগেও অনেক কম। কিন্তু ডালগোনা কফি খেতে খেতে চট করে একবার ইতিহাসটা জেনে নেবেন না?

এই কফির উৎপত্তি ভারতীয় মহাদেশে। ঐতিহাসিকরাই এমন কথা বলছেন। ভারত এবং পাকিস্তানে এই কফি তৈরির প্রচলন ছিল। নাম অবশ্য ‘ডালগোনা’ ছিল না। সেই সময় একে ‘ফেঁতি হুই’ নামে চিনত সবাই। ফেটিয়ে ফেটিয়ে ফেনার মতো করা হতো বলে এমন নাম। ভারত, পাকিস্তান থেকে ম্যাকাও, তারপর দক্ষিণ কোরিয়া- এই বিস্তৃত পথ পাড়ি দেয় ডালগোনা কফি। ‘ডালগোনা’ শব্দটি কোরিয়া থেকেই এসেছে। জেনে নিন এই মজাদার কফি তৈরির রেসিপি-

উপকরণ:
কফি- ২চা চামচ
চিনি- ২চা চামচ
গরম পানি- ২চা চামচ
দুধ- ২ কাপ
৫-৬ টি বরফ।

প্রণালি:
একটি বাটিতে চিনি, গরম পানি ও কফি নিয়ে মেশান। ইলেকট্রিক বিটার/ হ্যান্ড বিটার দিয়ে ফেটিয়ে নিয়ে ফোম বানিয়ে নিন।

এদিকে কাপে বরফ ও আগে থেকে জ্বাল করে ঠান্ডা করে নেয়া দুধ দিয়ে উপর দিয়ে কফির ফোম দিয়ে গুঁড়ো কফি ছড়িয়ে দিলেই তৈরি ডালগোনা কফি। এবার চুমুকে চুমুকে প্রাণ জুড়ানোর পালা।


কিশোর বয়সে খাবার নিয়ে আজকালকার ছেলেমেয়েদের রয়েছে নানা ধরনের হিসাব। ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে খুব দ্রুত, থাকতে হবে একদম হিসাব করা শারীরিক মাপে, দেখতে হতে হবে সবার থেকে ভালো। তার ওপর এটা খাব না, সেটা খাব না বা এতে ওজন বেড়ে যাচ্ছে, তাতে ওজন কমে যাচ্ছে। কিন্তু এই বয়সে ঠিকমতো না খেয়ে বা এটা-সেটা খাবার বাদ দিয়ে তারা আসলে ঠিক করছে, না ভুল?

এ ব্যাপারে ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘সাধারণত আমাদের দেশের ছেলেদের উচ্চতা বাড়ে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত আর মেয়েদের ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত। এরপর অনেকের ক্ষেত্রেই উচ্চতা বাড়ে না। এর মধ্যে কেউ যদি প্রোটিন, শর্করা বা অন্য সব খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়, তাহলে তার উচ্চতা কমে যাবে, পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের অসুখ হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, পরে ওজন কমানো যাবে কিন্তু একবার উচ্চতা বাড়ার বয়স শেষ হয়ে গেলে পরে কিন্তু আর লম্বা হওয়ার সুযোগ থাকবে না।’

অনেকের ধারণা, বাচ্চা মোটা হয়ে গেলে বা তার নির্দিষ্ট ওজন ছাড়িয়ে গেলে সে আর লম্বা হবে না—এটা একেবারে ভুল ধারণা। বাচ্চা লম্বা হওয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আজকাল টিন এজ ছেলেমেয়েরা প্রোটিন খেতে চায় না। অনেকের কাছে শোনা যায়, আমি ডিম বা দুধ খাই না, তবু ওজন বেড়ে যাচ্ছে। আসলে প্রোটিন না নিলে ওজন কমে যাবে, এটাও আরেকটা ভুল ধারণা। বরং এখন শর্করা বা প্রোটিন ঠিকমতো না নিলে অন্য সব ঝামেলা হবে। এই বয়সে খাবার খেতে হবে ঠিকমতো, নিজের বাড়তি যত্ন নিতে হবে ক্যালরি হিসাব করে। না খেয়ে ওজন কম রাখতে চাইলে তারা নিজেদের ক্ষতিই করছে তাতে।

ঠিকমতো খাবার খাওয়া বা বেশি ক্যালরির খাবার বলতে অনেকেই ধরে নেন বাইরের তেলে ভাজা বা পোড়া খাবার। এটিও কিন্তু ভুল ধারণা। বাইরে খাওয়া বন্ধ করে খেতে হবে বাড়িতে তৈরি পুষ্টিকর খাবার। কৈশোরে কেউ যদি একটু বাড়তি সচেতনতা রাখতে চায়, তাহলে তাকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। এ সময় প্রয়োজনীয় চর্বি, প্রোটিন, শর্করা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সবকিছু খেতে হবে ভরপুর। প্রয়োজনের চেয়ে কম নয়, খেতে হবে প্রয়োজন অনুসারে। আর একটু বেশি হয়ে গেলেও তাতে ভয়ের কিছু নেই। খেয়াল রাখতে হবে, কৈশোরের পর জীবনের আরও অনেক ধাপ আসবে। এখন কেমন দেখাচ্ছে এই ভয়ে পরবর্তী সময়ে বড় ঝামেলা তৈরি করে আসলে নিজেকে সুন্দর রাখা যাবে না।

দই ইলিশ রেসিপি 

Doi-ilish-Traditional-Bengali-Recipe

উপকরণ :- ৪ টি ইলিশ মাছের পিস, সরষের তেল ২ চামচ, পোস্ত বাটা ১ চামচ, চার মগজ বাটা ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, হলুদ গুঁড়ো সামান্য ( মাছে হলুদ মাখানোরর জন্য আলাদা হলুদ), সরষে বাটা ১/২ চামচ, কালোজিরে সামান্য, নুন পরিমাণ মতো, ১ টা বড়ো পেঁয়াজ ডুবো তেলে ভাজা ( পেঁয়াজ কিন্তু খুব লাল করে ভাজলে হবে না, তা হলে গ্রেভি খেতে ভালো লাগবেনা), ২ টো কাঁচা লঙ্কা গোল করে কাটা আর লাগছে টক দই ৩ চামচ।

কি ভাবে বানাবেন দই ইলিশ ?




প্রণালি :- প্রথমে মাছে নুন আর হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
এরপর সব মশলা মেশানোর জন্য একটি পাত্র নিতে হবে।
পাত্রের মধ্যে নিতে হবে টক দই, সরষে বাটা, পোস্ত বাটা, চারমগজ বাটা, লঙ্কা- হলুদ গুঁড়ো আর দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন। এবার সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
দই ইলিশ বানানোর জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে মাছের পিস। মাছ খুব লাল করে ভাজবার দরকার নেই।
মাছ ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিতে হবে।
ওই তেলেই দিয়ে দিতে হবে কালো জিরে আর দিতে হবে মাশলার মিশ্রণ। মশলা পাত্রে লেগে থাকলে একটু বেশি জল দিয়ে ধুয়ে দিয়ে দিতে হবে কড়াতে।
এরপর কড়াতে দিয়ে হবে কাঁচা লঙ্কা আর ভাজা পেঁয়াজ।
এবার ঝোল ফুটতে দিতে হবে ৫ মিনিট।
৫ মিনিট পর দিয়ে দিতে হবে ভাজা মাছ। ঝোলের সাথে হতে দিতে আরও ৫ মিনিট তবে আঁচ কমিয়ে, কারন গ্রেভি গাঢ় তা না হলে ছিটকাবে।
৫ মিনিট পর নামিয়ে নিলেই তৈরি দই ইলিশ

চিলি চিকেন রেসিপি 

Chilli-Chicken-Recipe-Bengali-style


উপকরণ :- বোনলেস চিকেন ৩০০ গ্রাম ( চিকেন ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে), একটা পেঁয়াজ আর একটা ক্যাপসিকাম মাঝারি মাপ করে চৌক চৌক করে কেটে নিতে হবে ( পেঁয়াজ কাটার পর একটা একটা করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে), ১ টা কাঁচা লঙ্কা কুঁচি, আদা রুসুন কুঁচি ১ চামচ ( আদা- রুসুন সরু সরু করে কাটতে হবে), পেঁয়াজ পাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ পাতাতে যে পেঁয়াজ থাকে সেগুলো কুঁচিয়ে নিতে হবে, লাগছে সামান্য চিনি, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, সাদা তেল, ভিনিগার ১ চামচ( আপনারা চাইলে এর বদলে লেবুর রস ব্যাবহার করতে পারেন), সোয়া সস ১ চামচ, রেড চিলি সস ১ চামচ, টম্যাটো সস ১ চামচ, আদা-রুসুন বাটা ১/২ চামচ, গোল মরিচ এর গুঁড়ো ১/২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, ময়দা প্রায় ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ আর লাগছে বেকিং সোডা ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ।

 কি ভাবে বানাবেন চিলি চিকেন ?





প্রণালি :-
সব উপকরণ মেশানোর জন্য একটি পাত্র নিতে হবে।
পাত্রের মধ্যে নিতে হবে চিকেন, দিয়ে দিতে হবে ভিনিগার, পরিমাণ মতো নুন, দিয়ে দেবো আদা- রুসুন বাটা, গোল মরিচ এর গুঁড়ো আর দিতে হবে ১ চামচ তেল। হাত দিয়ে সব উপকরণ ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
এবার এটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ মিনিট।
১৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে। এরমধ্যে দিয়ে দিতে হবে বেকিং সোডা, দিয়ে দিতে হবে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার ২ চামচ এর মতো রেখে বাকিটা দিয়ে দিতে হবে।
হাত দিয়ে সব উপকরণ মাখাতে হবে, তা হলে কতোটা জল লাগবে বোঝা যাবে।
এরপর অল্প অল্প জল দিয়ে মাখাতে হবে, এমন ভাবে মাখতে হবে সব উপকরণ যেনো মাংস তে লেগে থাকে।
এবার এগুলো ডুবো তেলে ভাজবার জন্য তেল গরম হতে দিতে হবে।
তেল গরম হলে দিয়ে দিতে হবে এক এক করে মশলা মাখানো চিকেন।
এবার এটা মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে, তাহলে চিকেন ভালোভাবে ভাজা হবে আর মচমচে হবে।
উল্টে পাল্টে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
এরপর ভাজা হলে তুলে নিতে হবে, তবে তেল ঝড়িয়ে।
একি ভাবে বাকি চিকেন ভেজে তুলে নিতে হবে।
চিলি চিকেন বানানোর জন্য কড়া গরম করে ২ চামচ তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে দিয়ে দিতে হবে আদা-রুসুন কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, ক্যাপসিকাম কুঁচি আর দিতে হবে কাঁচা পেঁয়াজ কুঁচি।
সব উপকরণ ভাজতে হবে। তবে বেশি ভাজবার দরকার নেই, শুধু একটু সেঁতলে নিলেই হবে।
এসময় ২ চামচ কর্নফ্লাওয়ার একটি পাত্রে নিতে হবে। এরমধ্যে নিতে হবে ১ কাপ জল। ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে আর দিয়ে দিতে হবে কড়াতে।
এরপর দিতে হবে কাঁচালঙ্কা কুঁচি, চিনি আর লঙ্কার গুঁড়ো।
দিয়ে দিতে হবে সোয়া সস, রেড চিলি সস, টম্যাটো সস আর দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন। সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে।
গ্রেভি ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
এবার গ্রেভিটা একটু ঠান্ডা হতে দিতে হবে। ঠাণ্ডা করে ভাজা চিকেন এর পিস দিলে, চিকেন মচমচে থাকে।
গ্রেভি অর্ধেক ঠাণ্ডা হলে দিয়ে দিতে হবে ভেজে রাখা চিকেন, আর দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ পাতা কুঁচি।
মিশিয়ে নিয়েই পরিবেশন করুন চিলি চিকেন।

আলু দিয়ে মুরগির মাংস 





https://bangalirrannabanna.blogspot.com/2017/09/Easy-chicken-curry-bengali-recipe.html




 উপকরণ :- মুরগির মাংস ২৫০ গ্রাম, ১ টা মাঝারি মাপের আলু ৪ ভাগ করা, ১ টা টম্যাটো কুঁচি, ১ টা কাঁচালঙ্কা ২ ভাগ করা, সামান্য ধনেপাতা কুঁচি, নুন পরিমাণ মতো, চিকেন মশলা ১/২ চামচ, ২ টো পেঁয়াজ কুঁচি, তেজপাতা ১ টা, লবঙ্গ ২ টো, গোল মরিচ ৪ টি, এলাচ ২ টো, দারচিনি ১ টুকরো, আদা - রুসুন বাটা ১ চামচ, চিনি সামান্য, জিরে গুঁড়ো আর ধনে গুঁড়ো দু'টো মিলিয়ে ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ আর লাগছে সরষের তেল ১ টেবিল চামচ।

  কি ভাবে বানাবেন আলু দিয়ে মুরগির মাংস ?




প্রণালি :- আলু দিয়ে মাংস বানানোর জন্য প্রথমে আলু ভাজতে হবে, তাই কড়া গরম করে তেল দিতে হবে।
তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে আলু।
আলু ভালোভাবে ভাজা হবে সামান্য হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে, এতে ভাজা আলুর রং ভালো আসে। এবার ভাজা আলু তুলে নিতে হবে।
এরপর ওই তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, গোল মরিচ আর তেজপাতা।
সব উপকরণ অল্প ভেজে নিতে হবে, এতে গন্ধটা ভালো আসে।
এবার দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি আর চিনি। চিনি কিন্তু খুবই সামান্য দেবেন।
পেঁয়াজ ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
এরপর ভাজা পেঁয়াজ এর মধ্যে দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি, কাঁচালঙ্কা, আদা - রুসুন বাটা, ধনেগুঁড়ো - জিরে গুঁড়ো, চিকেন মশলা, লঙ্কা - হলুদ গুঁড়ো আর দিতে হবে অল্প জল। জল দিলে মশলা ভালোভাবে কষানো যাবে।
মশলা ভাজার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে রান্নার স্বাদ।
মশলা ভালোভাবে কষানো হলে দিয়ে দিতে হবে মাংস আর পরিমাণ মতো নুন।
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর আঁচ কমিয়ে দিতে হবে আর এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট, তবে মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে।
১৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে।
এবার কড়াতে দিয়ে দিতে হবে ভাজা আলু আর জল।
আলু যেনো সেদ্ধ হয় সেই মতো জল দিতে হবে।
আবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট, তবে মাঝে একবার ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিতে হবে। এটা এবার কিন্তু হতে দিতে হবে আঁচ বাড়িয়ে।
১৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে।
নামানোর আগে দিতে হবে ধনেপাতা কুঁচি।
মিশিয়ে নিলেই তৈরি আলু দিয়ে মুরগির মাংস

প্রন মশালা রেসিপি

 


উপকরণ :-গলাদা চিংড়ি ৫০০ গ্রাম ( আপনারা চাইলে ছোট চিংড়ি দিয়ে এটা বানাতে পারেন), ২ টো পেঁয়াজ কুঁচি, টক দই ২ চামচ, ২ টো টম্যাটো ৮ ভাগ করে নিতে হবে, ধনেপাতা কুঁচি, ৩ টে গোটা কাঁচালঙ্কা, ধনে গুঁড়ো আর জিরে গুঁড়ো দু'টো মিলিয়ে ১/২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, লাগছে সরষের তেল, আদা-রুসুন বাটা ১ চামচ, ২ টো কাঁচালঙ্কা বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চামচ, তেজপাতা ১টা, ২ টো লবঙ্গ, এক টুকরো দারচিনি আর লাগছে ২ টো এলাচ।

 কি ভাবে বানাবেন  প্রন মশালা ?



প্রনালি :- প্রথমে চিংড়ি মাছ কেটে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর চিংড়ি মাছে মশলা মাখানোর জন্য একটি পাত্রে নিতে হবে।
ওর মধ্যে দিতে হবে টম্যাটো কুঁচি, কাঁচালঙ্কা, জিরে-ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা- হলুদ গুঁড়ো, আদা-রুসুন বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, পরিমাণ মতো নুন আর দিতে হবে এক চামচ সরষের তেল।
হাত দিয়ে সব উপকরণ ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার এটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ মিনিট।
১৫ মিনিট পর মশলা চিংড়ি বানানোর জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে।
তেলের মধ্যে দিতে হবে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ আর দারচিনি। এলাচ ফাটিয়ে তেলে দিতে হবে। সামান্য ভেজে নিতে হবে, এতে গন্ধ টা ভালো আসে।
এবার দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি। পেঁয়াজ ভাজতে হবে কিন্তু বেশি ভাজবার দরকার নেই। পেঁয়াজ অর্ধেক ভাজা হলে দিয়ে দিতে হবে মশলা মাখা চিংড়ি মাছ।
মশলা পাত্রে লেগে থাকলে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে আর দিয়ে দিতে হবে কড়াতে। সব উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ২০ মিনিট, তবে আঁচ কমিয়ে। ছোট চিংড়ি হলে কম সময় লাগবে। কিন্তু মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে সব উপকরণ নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে।
২০ মিনিট পর ঢাকা খুলে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ ভালোভাবে কষা হলে, এরমধ্যে দিতে হবে অল্প জল। এই রান্নাতে কিন্তু গ্রেভি বেশি থাকবেনা। আবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ৫ মিনিট। মাঝে একবার ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিতে হবে।
৫ মিনিট পর নামিয়ে নিন মশলা চিংড়ি ।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget