March 2017

তড়কা রেসিপি - ধাবা স্টাইল ডিম তড়কা রেসিপি

তড়কা ডাল নানান ভাবে বানানো হয়, তবে আমি দেখাবো ধাবা স্টাইল ডিম তড়কা রেসিপি। কারন এটি খুব টেষ্টি হয়। আপনি ডিম ছাড়াও বানাতে পারেন। চলুন দেখে নিই কিভাবে ধাবা স্টাইল ডিম তড়কা রেসিপি?

উপকরণ :- সবুজ মুগ ডাল ১ কাপ( সারা রাত ভিজিয়ে রেখেছিলাম), ডিম ২ টো, ১ টা বড়ো পেঁয়াজ কুঁচি, ২ টো কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা কুঁচি ১ চামচ, আদা-রুসুন কুঁচি ১ চামচ, গরম মশলা গুঁড়ো সামান্য, জিরে গুঁড়ো ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো সামান্য, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ, নুন পরিমাণ মতো, লেবুর রস ১/২ চামচ, তেল ২ চামচ আর লাগছে ঘি ১/২ চামচ।





প্রণালি :- প্রথমে ডাল সেদ্ধ করে নিতে হবে তাই কুকারে ডাল, সামান্য নুন আর জল দিয়ে ৩ টে সিটি দিয়ে নিতে হবে। ডাল যেনো ডুবে থাকে সেই মতো জল দেবেন।
এরপর ডিম ভাজবার জন্য কড়া গরম করে তেল দিতে হবে। গরম তেলে ২ টো ডিম ফাটিয়ে দিয়ে দিতে হবে আর দিতে হবে সামান্য নুন। ডিমের ঝুরো রানাতে হবে। ডিম খুব বেশি লাল করে ভাজবার দরকার নেই। ভাজা ডিম তুলে নিতে হবে।
কড়াতে আবার তেল দিতে হবে। তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ কুঁচি। পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজতে হবে।
পেঁয়াজ ভাজা থেকে অর্ধেক তুলে রাখতে হবে, আর কড়াতে যে অর্ধেক পেঁয়াজ ভাজা থাকবে তার মধ্যে দিতে হবে আদা-রুসুন কুঁচি। আদা - রুসুন খুব সরু সরু করে কাটবেন। তেলে ভেজে নিতে হবে।
এরপর এক এক করে দিয়ে দিতে হবে হলুদ-লঙ্কা গুঁড়ো, টম্যাটো কুঁচি আর সামান্য নুন( ডাল সেদ্ধ করার সময় নুন দেওয়া ছিলো তাই নুন দেখে দিতে হবে)। এ সময় নুন দিলে টম্যাটো তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায়। টম্যাটো যতোক্ষন না সেদ্ধ হয় এটা হতে দিতে হবে।
টম্যাটো সেদ্ধ হলে ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে সেদ্ধ করা ডাল আর দিতে হবে সামান্য জল কারন মশলার সাথে ৫ মিনিট হতে দেবো।
এরপর দিতে হবে গরম মশলা গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা কুঁচি আর রোস্টেড জিরে গুঁড়ো। আগে থেকে বানানো রোস্টেড জিরে গুঁড়ো ব্যবহার না করে যখন তড়কা বানাবেন তার আগে বানানোর চেস্টা করবেন এতে গন্ধ টা ভালো আসে।
এরপর এটা হতে দিতে হবে ৫ মিনিট।
নামানোর আগে দিতে হবে ভাজা ডিম, ভাজা পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুঁচি, লেবুর রস আর ঘি। মিশিয়ে নিলেই তৈরি ডাল তড়কা


মটন কারি রেসিপি | মটন কষা | খাসীর মাংস রেসিপি

চলুন দেখে নিন কিভাবে মটন কারি রেসিপি বা মটন কষা বানাতে হয়? এটি খুবই একটি সহজ সরল খাসীর মাংস রেসিপি। এটি বানানোর জন্য আমি বোনলেস খাসীর মাংস নিয়েছি। 

উপকরণ :- ২ জন এর জন্য
খাসির মাংস ২৫০ গ্রাম, একটা মাঝারি আলু চার ভাগ করা, ২টো পেঁয়াজ কুঁচি, আদা-রুসুন বাটা ২ চামচ,নুন পরিমাণ মতো, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ১ চামচ, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, চিনি সামান্য, ফোড়নের জন্য লাগছে এলাচ ২ টো, লবঙ্গ ২ টো, দারচিনি ১ টা, গোলমরিচ ৬টা, তেজপাতা ১ টা, ঘি ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ আর লাগচে গরম মশলা বাটা ( এতে আছে এলাচ ২ টো, লবঙ্গ ২ টো আর দারচিনি ১ টুকরো।



প্রণালি :- প্রথমে মাংস ম্যারিনেট করে নিতে হবে। তাই মাংস তে এক - এক করে দিতে হবে নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, আদা-রুসুন বাটা, পেঁয়াজ কুঁচি আর দিতে হবে সরষের তেল ৩ ভাগ বাকী গ্রেভি বানানোর জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর সব উপকরণ হাত দিয়ে মাখতে হবে,যাতে সব মাংসতে ভালোভাবে মশলা মাখানো যায়। এবার এটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে প্রায় ৩০ মিনিট।
৩০ মিনিট পর মাংস বানানো শুরু করলে প্রথমে আলু ভালোভাবে ভেজেতে হবে। আলু ভাজা হলে সামান্য হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করে তুলে নিতে হলে, এতে আলুর রঙ ভালো আসে।
ভাজা আলু তুলে নেওয়ার পর ওই তেলেই ফোড়ন দিতে হবে এলাচ,লবঙ্গ, দারচিনি,গোলমরিচ আর তেজপাতা। গোটা এলাচ তেলের মধ্যে না দিয়ে একটু ফাটিয়ে দেবেন তা হলে তেল থেকে ছিটকে যাওয়ার ভয় থাকেনা। তেলে একটু নাড়াচাড়া করে নিতে হবে,যাতে গন্ধ টা ভালো আসে।
এরপর চিনি দিতে হবে।চিনি খুবই সামান্য দেবেন।
এরমধ্যে দিয়ে দিতে হবে ম্যারিনেট করা মাংস। দু-একবার এদিক -ওদিক নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে প্রায় ২০ মিনিট, তবে মাঝারি আঁচে।
মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে,না হলে নীচে লেগে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে এটা ২-৩ মিনিট ছাড়া ছাড়া করলেই হবে।
২০ মিনিট পর মাংস কষা হলে ঢাকা খুলে ওর মধ্যে ভেজে রাখা আলু দিয়ে দিতে হবে।
মাংস আর আলু প্রায় ২ মিনিট এর হতে দিতে হবে।
আপনারা বেশি মাংস রান্না করলে এসময় দু'টো কাঁচালঙ্কা চেঁড়া দিয়ে দেবেন তাহলে মাংস খেতে আরও ভালোলাগে।
২ মিনিট পরে একটূ বেশি করে জল দিতে হবে যাতে মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ হয়। আবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিয়ে হবে প্রায় ১৫ মিনিট।
নামানোর আগে ঘি আর গরম মশলা বাটা দিয়ে দিন।
মিশিয়ে নিলেই তৈরি মটন কষা


সব্জি দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি


উপকরণ :- রুই মাছের পিস ৪ টে, আলু ১টা, সঁজনে ডাঁটা ২টো, ফুলকপি প্রায় ১০০ গ্রাম, ১টা টম্যাটো কুঁচি, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, ১ টা পেঁয়াজ কুঁচি, নুন পরিমাণ মতো, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, জিরে বাটা আধা চা চামচ আর লাগছে পোস্ত বাটা ১ চামচ।


প্রণালি :- প্রথমে আলু, ফুলকপি, আর সজনে ডাঁটা এমন ভাবে কাটতে হবে যেনো সব সব্জি একসাথে সেদ্ধ হয়। মাছে মাখিয়ে নিতে হবে হলুদ আর পরিমাণ মতো নুন। এরপর মাছ ভাজবার জন্য কড়াই গরম তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে এক এক করে মাছের পিস দিয়ে দিতে হবে। উল্টে পাল্টে মাছ গুলো লালচে করে ভেজে তুলে নিতে হবে। এই তেলেই দিতে হবে ফুলকপি। সামান্য ভেজে ফুলকপি গুলো তুলে নিতে হবে। এরপর তেলে দিতে হবে আলু। আলু অর্ধেক ভাজা হলে পেঁয়াজ কুঁচি দিতে হবে। পেঁয়াজ আর আলু লালচে করে ভাজা হলে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে আদা বাটা, জিরে বাটা, পোস্ত বাটা, হলুদ গুঁড়ো আর লঙ্কা গুঁড়ো। সব মশলা তেলের সাথে ভালোকরে কষিয়ে নিতে হবে। আর এর মধ্যে দিয়ে দিয়ে হবে সঁজনে ডাঁটা আর টম্যাটো। মশলার সাথে সামান্য নাড়াচাড়া করার পর জল দিতে হবে। সব সব্জি যেনো প্রায় ডুবে থাকে এমন জল দিতে হবে। আপনারা কতোটা ঝোল চান অবশ্যই সেই মতো জল দেবেন। এরপর ওতে দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন আর ভাজা ফুলকপি। এবার এটা ঢাকা দিয়ে হতে দিতে হবে ১৫ মিনিট। ১৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। ঝোলের সাথে মাছ হতে দিয়ে হবে প্রায় ২-৩ মিনিট। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি দিলেই তৈরি সব্জি দিয়ে রুই মাছের ঝোল।।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget